‘সুপ্রভাতে’র চালক সাত দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর নর্দ্দা এলাকায় বাসচাপায় নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেওয়া ‘সুপ্রভাত’ বাসের চালক সিরাজুল ইসলামকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ বিকেল ৩টায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে গুলশান থানা পুলিশ আটক চালক সিরাজুল ইসলামকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।’
সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহতের জের ধরে আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রগতি সরণি এলাকায় ‘সুপ্রভাত পরিবহনের’ একটি বাসের ধাক্কায় নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার বসুন্ধরা এলাকার বাসিন্দা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনায় দায়ী বাসচালকের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি মঙ্গলবার আট দফা দাবি জানিয়েছেন।
তাঁদের দাবির মধ্যে রয়েছে—ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়মিতভাবে পরীক্ষা, পরিবহন খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা, ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় পদচারী সেতু ও স্পিডব্রেকার নির্মাণ এবং অনুপযোগী যানবাহন চলাচল বন্ধ করা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া শিক্ষার্থীরা বুধবার সকালেও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘জাস্টিস ফর আবরার’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’ এ রকম নানা স্লোগানে নিরাপদ সড়কের দাবি জানাচ্ছেন।
এ ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, চালকের সহকারী, বাসের কন্ট্রাক্টর ও মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের বাবা আরিফ আহমেদ চৌধুরী।