মুক্তিযোদ্ধা হত্যা : সাবেক এমপি রানার জামিন স্থগিত
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। ওইদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই শুনানি হবে।
আজ সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকি এ আদেশ দেন।
গত ১৪ মার্চ রানার পক্ষে করা আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছিল। আদালতে রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ড. বশির উল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত হওয়ায় রানা আর মুক্তি পাচ্ছেন না।
এর আগে গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট থেকে যুবলীগের দুই নেতার হত্যা মামলায় জামিন পান রানা।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার মূল আসামি আমানুর রহমান খান রানা বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরের দিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ,শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এমপি রানার নির্দেশে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যার পর তাদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন আসামিরা। এই জোড়া খুনের মামলাতেও রানাকে আসামি করা হয়। তবে গত ৬ মার্চ এ মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।