কটিয়াদীতে আগের রাতে ভোট, সেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গত ২৪ মার্চ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিলমারার ঘটনায় প্রত্যাহার হওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীনকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে বিভাগীয় চাকরি বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচন কমিশনের আইন মোতাবেক পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তাজুল ইসলাম জানান, আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীনকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়। এছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. সাবেদ উর রহমান স্বাক্ষরিত অপর দুটি প্রজ্ঞাপনে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় চাকরি বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইজিপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২৪ মার্চ সকাল ৮টায় কটিয়াদী উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর একের পর এক কেন্দ্র থেকে আগের রাতে পেপারে সিল মেরে ভোটের বাক্স ভর্তি করার অভিযোগ আসতে থাকে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রথমে পাঁচটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সকাল ১০ টার দিকে ৮৯টি কেন্দ্রের সব কটিতেই ভোট গ্রহণ বন্ধের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সে সময় দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়ম করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ওসি মো. শামসুদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়।