ঢাকার ডেমরায় ‘রমজান পরিবহনে’র একটি বাসের চাপায় এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ডেমরা স্টাফ কলেজের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। বাস চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ছাত্রের নাম মো. ইরাম। সে ডেমরার গোলাম মোস্তফা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।

পুলিশ জানায়, মো. ইরাম ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের সামনের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ডেমরা–মেরাদিয়া রুটে চলাচলকারী রমজান পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। পরে বাসটি চালকসহ আটক করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী স্টাফ কোয়ার্টারের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা।

এ সময় তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রা জনপ্রতিনিধিদেরকে নিয়ে সড়কে গতিরোধক তৈরি করেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্থানীয় এক যুবক আক্ষেপ করে বলেন, ‘প্রতিনিয়ত এই রোডটায় দুর্ঘটনা ঘটতেছে। সব সময়ই কেউ কেউ আহত হচ্ছে। কই নিরাপদ সড়কের যে দাবি তা তো বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’

নিহত ইরামের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলের জীবন গেছে। আর কোনো মায়ের সন্তান যেন না মারা যায়। একটা ব্যবস্থা নেওয়া হোক। প্রতিদিনই অ্যাকসিডেন্ট হইতেছে। এর আগে আমাদের প্রাইমারি স্কুলের হেড মাস্টার মারা গেছেন। কয়দিন আগে আমার চাচাতো ভাইকে মাইরা থুয়ে গেছে। কোনো কিছুই হয় না।’

তিনি আরো বলেন, ‘সন্তানের ঘটনায় পুলিশি অ্যাকশনেও যাইতে চাই না। কেননা গিয়া লাভ হয় না। কিচ্ছুই তো হয় না। ওরা ঠিকই ছাড়া পায়া যায়। কোন না কোনভাবে ওরা ছাড়া পায়ই। আমি কেস মামলা করে নিজে হয়রান হমু লাভটা কী।’

ওয়ারী জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসটিকে আটক করি। এর সঙ্গে চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।’