ফায়ারম্যান সোহেলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফায়ার সার্ভিস কর্মী সোহেল রানার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্যের জীবন রক্ষার্থে, নিজের জীবন উৎসর্গ করার ক্ষেত্রে সোহেল রানা এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীতে পুড়তে থাকা এফ আর টাওয়ারে আটকেপড়া মানুষের জীবন বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা। তাঁর পা ভেঙে তিন টুকরা হয়ে যায়। ছিদ্র হয়ে যায় পেটের নাড়িভুঁড়ি। অতিদ্রুত তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
এখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবার সোহেল রানাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টা ১৭ মিনিটে মারা যান তিনি।
সোহেল রানা কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাংগা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চৌগাংগা শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। সোহেলের বাবা নুরুল ইসলাম একজন দরিদ্র কৃষক। মা হালিমা আক্তার চার ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি থাকেন। চার ভাইয়ের মধ্যে সোহেল সবার বড়। পরিবারের হাল ধরতে ২০১৫ সালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে ফায়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন সোহেল রানা।