ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের দুই ছেলে রিমান্ডে
রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবহেলাজনিত মামলায় ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের দুই ছেলে মো. হাসান ও সোহেল ওরফে শহীদকে সাত দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, গত ৩১ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোরাদুল ইসলাম ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের দুই ছেলের বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন ঢাকার সিএমএম আদালত আজ সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, আজ রিমান্ড শুনানির দিনে আসামিদের ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হাজির করা হয়। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের আদেশ বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিনের আবেদন নাকচ করে সাত দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এ মামলায় আসামিরা আগে হাইকোর্ট থেকে তিন সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। ওই জামিনের মেয়াদ শেষে হওয়ায় গত ২ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পুরান ঢাকার চকবাজারের নন্দকুমার সড়কের চুড়িহাট্টায় গত বুধবার রাতে শাহি মসজিদের সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির ট্রান্সফরমার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এর পরই পাশের খুঁটির আরো দুটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের শব্দ হয়। মুহূর্তেই আগুন লাগে জামাল কমিউনিটি সেন্টারে।
আগুনের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের চারতলা ওয়াহেদ ম্যানশনে। ভবনটির প্রথম দোতলায় প্রসাধনসামগ্রী, প্লাস্টিকের দানা ও রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের গুদাম থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের আরো চারটি ভবনে। পাশের কয়েকটি খাবারের হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডারেরও বিস্ফোরণ ঘটে। পুড়ে যায় সড়কে থাকা একটি প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি যানবাহন। এ সময় পুড়ে যাওয়া কয়েকটি মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়।