ফাতেমার বাবাকে অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে : নজরুল ইসলাম
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে থাকা গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমের বাবাকে প্রাপ্য টাকা ছাড়াও অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। এমন দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে ফাতেমার বাবার সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়ায় নজরুল ইসলাম খান এ দাবি করেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন তিনি।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ফাতেমার বাবাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সরকারের পৃষ্ঠপোষক একটি মিডিয়া সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেল ফাতেমার বাবার সাক্ষাৎকার দেখিয়েছে। ওই খবরে ফাতেমার বাবা অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ের বেতন নাকি বকেয়া রয়েছে। খবরটি দেখে আমি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে বললেন, এই খবর শতভাগ মিথ্যা। বেচারা গরিব মানুষ, তাঁকে ম্যানেজ করে এই কথা বলানো হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরো বলেন, বিএনপি মহাসচিব জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই ফাতেমার বাবার হাতে তার প্রাপ্য টাকা পৌঁছানো হয়েছে। এ সময় তাঁকে কিছু অগ্রিম টাকাও দেওয়া হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এসব করে বিএনপি চেয়ারপারসনের নামে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। খালেদা জিয়াকে হেয়-প্রতিপন্ন করতে বিশাল চক্রান্ত চলছে। এরই অংশ হিসেবে মিথ্যা মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে, যার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা নেই। তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে এতিমের টাকা চুরির জন্য। কিন্তু আপনারা যদি রায় পড়েন, তাহলে দেখবেন সেখানে কোথাও বলা নেই কেউ এতিমের টাকা চুরি করেছে। তবু তাঁর বিরুদ্ধে এতিমের টাকা চুরির অভিযোগ এনে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ওই টিভি চ্যানেলে প্রচারিত সাক্ষাৎকারটিও সেই চক্রান্তেরই অংশ।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচারমূলক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা ফাতেমার পরিবার নিয়ে এতো মাতামাতি করছে তারা সুবর্ণচরের ধর্ষিতা নারীকে নিয়ে কিছু বলছে না কেন? এসব জিনিস তাদের চোখে পড়ে না?
রিজভী বলেন, শ্রমিক রাজনীতিসহ সব অঙ্গ সংগঠনের হারিয়ে যাওয়া লোকগুলোর পরিপূরক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের মধ্যে সংশয় আছে বলেই আমরা আন্দোলন করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে পারছি না।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।