খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে সকাল-বিকেল তামাশা করছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে সকাল-বিকেল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি এই তামাশার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে বিএনপির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ৭৫-এর পর বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস শিখতে দেওয়া হয়নি। বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না বলেই তাদের চেয়ারপারসন মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নপূরণে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তরুণ প্রজন্মকে আরো উদ্যমী হওয়ার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকালে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে একবার সংবাদ সম্মেলন করেন। আবার বিকেলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দলটির যুগ্ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করেন।
ড. হাছান বলেন, বিএনপির রাজনীতি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার মধ্যে আটকে গেছে। তারাই তাঁর চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে রাজনীতি করে তামাশার নাটক করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার হাঁটু ও কোমরের ব্যথা অনেক আগে থেকেই ছিল। এ ধরনের ব্যথা নিয়েই তিনি দুবার দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির মতো একটি বড় দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই সরকার বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে নাটক করছে না, বরং বিএনপির নেতারাই তাঁর চিকিৎসা নিয়ে দিনে দুবার সংবাদ সম্মেলন করে তামাশার নাটক করছেন।
খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের জবাবে বলেন, প্যারোলে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় সে বিষয়ে বিএনপির নেতাদের আগে জানা উচিত। প্যারোলের আইন কানুন ও বিধি-বিধান সম্পর্কে তাদের পড়াশুনা করা দরকার। তিনি বলেন, সরকার জোর করে কাউকে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারে না। যিনি প্যারোলে মুক্তি চান তাঁকে আবেদন করতে হয়।
আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনা হবে বিএনপির নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের (বিএনপি) আন্দোলনের তর্জন-গর্জন হচ্ছে খাঁচায় আবদ্ধ রোগাক্রান্ত সিংহের গর্জনের মতো। এ ধরনের গর্জনে দর্শকরা যেমন আনন্দ পায় তেমনি বিএনপির আন্দোলনের তর্জন-গর্জনেও দেশের মানুষ বিনোদন পায়।
বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণে সহযোগী সংগঠনের সংগে বিএনপির বৈঠকের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সরকার ১০ বছর ধরে বিএনপির আন্দোলনের হুমকির মধ্যে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছেন।
এ বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ করতে আরো কত বছর লাগে সেটাই দেখার বিষয়। আর তাদের আন্দোলনের তর্জন-গর্জন দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাবেক সভাপতি মো. মুনির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয় ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।