সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় কেরানীহাট
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাটে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। এতে জনসাধারণকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রবেশপথ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে কেরানীহাট জামেউল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম।
তা ছাড়া কেরানীহাট পর্যটন শহর কক্সবাজার ও পার্বত্য জেলা বান্দরবানের প্রবেশপথ হওয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য জমায়েত হওয়া হাজারো যাত্রী সাধারণও এ দুর্ভোগে পড়ে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রুদ্ধ করে রাস্তার পাশে বিভিন্ন বিপণিবিতান গড়ে ওঠায় এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে না উঠার কারণেই মূলত এ দুর্ভোগ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কেরানীহাট জামেউল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নুরুল হক সিরাজী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কেরানীহাটে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই মাদ্রাসার প্রবেশ পথ পানিতে তলিয়ে যায়। শ্রেণিকক্ষেও পানি প্রবেশ করায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সুদৃষ্টি কামনা করছি।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাটে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। প্রবেশপথ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে কেরানীহাট জামেউল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম। ছবি : এনটিভি
কেরানীহাট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সহসভাপতি ওসমান আলী বলেন, আমাদের নির্মিত কেরানীহাট শপিং সেন্টারে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও আরো একাধিক বিপণিবিতানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই কেরানীহাটে পানি জমে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি ও মাদ্রাসায় পাঠদান বন্ধ থাকার বিষয়ে সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জমে থাকা পানি কীভাবে কমে যায়, সেজন্য দায়িত্বরত ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিয়েছি। আশা করি পানি চলে যাবে। আর স্থায়ীভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য খুব কম সময়ের মধ্যেই ড্রেন নির্মাণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা আশা করছি।’
ইউএনও আরো বলেন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আজ সকালে তিনি কেরানীহাটের রাস্তার দুই পাশের ভবন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর দুই পাশে এক কিলোমিটার করে ড্রেন নির্মাণ করা জরুরি উল্লেখ করে তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন।