‘ফেসবুক দেখে আর ওয়াজ করব না, তওবা করেছি’
অভিনেত্রী সাফা কবিরকে নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে ওয়াজে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাওলানা শহিদুল ইসলাম সিদ্দিক। গত মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লার হোমনায় একটি ওয়াজ মাহফিলে তাঁর দেওয়া বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওয়াজে তথ্যগত ভুল হয়েছে বলে জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে তাঁর ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি ওই ওয়াজের ভিডিও মুছে দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের কোনো পোস্ট দেখে কেউ যেন কখনো কোনো বক্তা ওয়াজ না করেন। আমি দুঃখিত, আমি তওবা করেছি, ফেসবুকের পোস্ট দেখে আমি আর কখনো ওয়াজ করব না।’
মাওলানা শহিদুল ইসলাম সিদ্দিক রাজধানীর বনানী কড়াইল আদর্শনগর কবরস্থান জামে মসজিদের খতিব।
ভিডিও বক্তব্যে ওই মাওলানা বলেন, ‘ফেসবুকে সাফা কবিরের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে সাবা কবির, শাহরিয়ার কবির ও খুশি কবিরের ছবি শেয়ার দেওয়া হয়েছিল। আমি সেগুলো যাচাই বাছাই না করেই ওয়াজে বলেছিলাম। ভুলক্রমে আমি সেটা বলেছি। আসলে ফেসবুকের কোনো পোস্ট দেখে কেউ যেন কখনো কোনো বক্তা ওয়াজ না করেন। আমি দুঃখিত, আমি তওবা করেছি, ফেসবুকের পোস্ট দেখে আমি আর কখনো ওয়াজ করব না। আর তথ্য না জেনে যেন কেউ আলোচনা না করেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, সাফা কবির ফেসবুকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।’
মাওলানা আরো বলেন, ‘বুধবার জোহরের পর ইউটিউবে দেওয়া মোবাইল নম্বরটা খোলার পর ফোনের পর ফোন আসতে থাকে। যখন আমি জানতে পারি যে তথ্যটা সঠিক নয় তৎক্ষণাৎ তা ইউটিউব থেকে মুছে ফেলতে বলি। তবে সেখান থেকে ডাউনলোড করে অনেকেই শেয়ার করেছেন।’
এ সময় মাওলানা বলেন, ‘তবে এ কথাটা বাস্তব, নাস্তিক যারা তাদের বিরুদ্ধে আমরা অতীতেও কথা বলেছি, এখনো বলছি, ভবিষ্যতেও বলে যাব।’
কুমিল্লার হোমনায় ওয়াজের আলোচনায় মাওলানা বলেন, ‘শাহরিয়ার কবিরের স্ত্রী হলো খুশি কবির। তাঁর মেয়ে হলো সাবা কবির ও সাফা কবির এবং ছেলে হলো জন কবির। এফএম রেডিওতে ছোট মেয়ে সাফা কবিরকে একজন প্রশ্ন করেছেন, পরকালে বিশ্বাস করেন আপনি? জবাবে তিনি বললেন ইম্পসিবল। আমি পরকাল বিশ্বাস করি না। পরিবারের সবাই আখেরাত বিরোধী, কোরানবিরোধী, নবীবিরোধী, আল্লাহবিরোধী।’
ওই পাঁচজনের ছবি একসঙ্গে করে দিয়ে ‘তারা একই পরিবারের সদস্য’ উল্লেখ করা একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টটি অনেকেই ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। এ কারণেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন মাওলানা শহিদুল ইসলাম সিদ্দিক।