৮৬ বিদেশির সাজা শেষ হলেও ফিরতে পারছে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ৪৯৫ জন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছে। এদের মধ্যে ৮৬ জনের সাজার মেয়াদ শেষ হলেও কোনো দেশই তাদের নিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে তারাও এখন কারাগারেই রয়েছে।
আজ শনিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কমবেটিং ট্র্যাফিকিং : রিপেট্রিয়েশন অব ভিকটিমস অব ট্র্যাফিকিং’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের ৫৭ জন নাগরিকের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। তারা এখন সাজা ভোগ করছে। সাজার মেয়াদ শেষ হলে তারাও ছাড়া পাবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম বাংলাদেশের প্রধান গিওরগি গিগাউরি প্রমুখ।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বাংলাদেশ থেকে এক শ্রেণির লোক লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। অনেকটা লোভে পড়েই সাধারণ মানুষ অবৈধপথে বিদেশ পাড়ি দিয়ে বিপদে পড়ছে। এদের অনেকে বিভিন্ন দেশের কারাগারে আটক রয়েছে। এক সময় ভাগ্য বদলানোর আশায় লোভে পড়ে মানুষ বিদেশ যেতে। অসাধু লোকেরা প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে পাচারে বাধ্য করে। তবে এ সংখ্যাটা এখন ধীরে ধীরে অনেক কমে এসেছে। আগের তুলনায় এখন আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। কেউ কেউ এখন চাকরি নিয়ে বাংলাদেশেও ভাগ্য বদলাতে আসছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবপাচার রোধে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিটি জেলায় পুলিশের কমিটি রয়েছে। আমরা বিষয়টি মনিটরিং করে থাকি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ বিষয়ে প্রতিবেদনও পেশ করা হয়। মানবপাচার রোধে সবাই সক্রিয় রয়েছে।