‘বিএনপির নির্বাচিতদের দরকষাকষি বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচিত সদস্যদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে জাতীয় সংসদে শপথ না নেওয়ার যে দরকষাকষি করছেন, এটা একটা বাজে দৃষ্টান্ত হিসেবে বাংলাদেশে থাকবে।
হানিফ বলেন, ভোটাররা কোনো বন্দিকে মুক্ত করার জন্য সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়নি যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব মন্তব্য করেন হানিফ। আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির আর কোনো পথ নেই বলেও জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে পালন করার জন্য দলের তৃণমূলকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এই বৈঠক থেকে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর দলের যে সিদ্ধান্ত তা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয় বৈঠকে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া বিএনপির সামনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আর কোনো পথ খোলা নেই। জাতীয় সংসদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সংসদে যাওয়া না যাওয়া এটা কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির জামিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে না। নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্যের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে সংসদে যাওয়া। যে ভোটাররা তাকে ভোট দিয়েছেন সেই ভোটারদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তাদের সংসদে যাওয়া উচিত। নিশ্চয় ভোটারদের কেউ তাদেরকে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির মুক্তির জন্য ভোট দেয়নি যে তারা এটা নিয়ে দরকষাকষি করবে, তারা সংসদে যাবে কি যাবে না।’
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘আইনের চোখে অপরাধী হলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইনের শাসনে বিশ্বাসী। অপরাধী কাউকে প্রশ্রয় দিতে পারে না আওয়ামী লীগ। অপরাধী হিসেবে কেউ প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের সব কমিটির সদস্যদের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় এই বৈঠক থেকে।