বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই সুবীর নন্দীর
একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। সিএমএইচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. তৌফিক এলাহির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থাপত্র সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা বিমানে যাওয়ার উপযুক্ত নয়। এমনটিই জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।
সামন্ত লাল সেন বলেন ‘এই মুহূর্তে সুবীর নন্দীকে দেশের বাইরে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর শারীরিক অবস্থা বাইরে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত নয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা সবসময় যোগাযোগ রাখছি।’
হৃদরোগে আক্রান্ত সুবীর নন্দীকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় গত ১৪ এপ্রিল। হাসপাতালে নেওয়ার পরই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। এখনো তাঁর অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। এ ছাড়া কিডনির অসুখেও ভুগছেন তিনি।
১২ এপ্রিল শ্রীমঙ্গলে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুবীর নন্দী ও তাঁর পরিবার। পয়লা বৈশাখে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা ফেরার পথে উত্তরায় কাছাকাছি আসতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে সুবীর নন্দীর। এর পরই তাঁকে সেখান থেকে সরাসরি সিএমএইচে নেওয়া হয়।
দেশের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর ১৯৮১ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন তিনি। দীর্ঘ ৪০ বছরের সংগীত ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর তিনি পান দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক।
সুবীর নন্দীর গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো—‘ও আমার উড়াল পঙ্খী রে’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, ‘চাঁদে কলঙ্ক আছে যেমন’, ‘বধূ তোমার আমার এই যে পিরিতি’, ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’, ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘আশা ছিল মনে মনে’ ইত্যাদি।