অন্ধ্র উপকূলের দিকে আগাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফণি, ২ নম্বর সংকেত
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেতের পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী, সিলেট ও ফরিদপুর অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে। তাছাড়া খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়টি আরো ঘণীভূত ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। এর কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৩টার সময় ঘূর্ণিঝড় ফণির অবস্থান ছিল কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে।
এদিকে সারা দেশে যে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে তার সঙ্গে নিম্নচাপের কিছুটা সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান। আগামী দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে তীব্র গরমের মাত্রা কমে আসবে বলেও জানানো হয় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে।
শনিবার দেশের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনা ও যশোরে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গোপালগঞ্জে ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে রাজধানীর তাপমাত্রা গতকালের চেয়ে কিছুটা কম ছিল। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন ছিল ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।