ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন ওই দিন নির্ধারণ করেন

সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর পর ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠে। গত ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাত যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করলে দুজনকেই থানায় নিয়ে যান মোয়াজ্জেম।

এরপর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন সিরাজের লোকজন। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় সময়ের আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন।’

এর আগে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে গত ১৫ এপ্রিল মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন পিবিআই কর্মকর্তাকে মামলাটি তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণ অনুসারে, যৌন হয়রানির অভিযোগে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলার পর ২৭ মার্চ নুসরাতকে থানায় ডাকেন ‍তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম। তিনি থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঘটনা নিয়ে নুসরাতকে আপত্তিকর ও অসহনীয় (যৌন হয়রানিমূলক)  প্রশ্ন করেন।

এরপর মামলায় যথাযথ সহায়তা পাননি বলে নুসরাতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ এপ্রিল ওসি মোয়াজ্জেমকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।