প্রতিবেশীর জিহ্বা কর্তন!
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় সোহান আলী (২৫) নামের এক যুবকের জিহ্ববা কেটে গেছে। সোহানের বাবার অভিযোগ, তাঁদের প্রতিবেশী ফজলুর রহমান বাড়িতে ডেকে নিয়ে সোহানের জিহ্বা কেটে দিয়েছেন।
অন্যদিকে ফজলুরের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে উঁকি মারতে গিয়ে টিনের বেড়ায় সোহানের জিহ্বা কেটে গেছে।
এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হলে পুলিশ সোহান আলী ও ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। সোহান পুলিশের পাহাড়ায় নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোহানের বাবা শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী ফজলুর রহমান কৌশলে তাঁর ছেলেকে ওই বাড়িতে ডেকে নিয়ে জিহ্ববা কেটে দেন।
তবে ফজলুর রহমানের স্ত্রীর অভিযোগ, প্রতিবেশী সোহান নানাভাবে তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির আঙিনায় টিউবওয়েলে কাজ করছিলেন তিনি। এ সময় সোহান তাঁদের বাড়ির টিনের বেড়ার ওপর দিয়ে উঁকি-ঝুকি মারতে গিয়ে বেড়া ভেঙে নিচে পড়ে যান। এতে তাঁর জিহ্ববা কেটে গিয়ে থাকতে পারে।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে সোহান আলী প্রতিবেশী ফজলুর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় ওই গৃহবধূকে সোহান আলী যৌন হয়রানি করলে তাঁর জিহ্বা কেটে নেয় স্বামী ফজলুর রহমান। রাতেই সোহানকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সিরাজুল ইসলাম আরো জানান, ওই গৃহবধূ যৌন হয়রানির ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন। অপরদিকে জিহ্বা কেটে নেওয়ার ঘটনায় সোহান আলীর বাবা শহিদুল ইসলাম পাল্টা মামলা করেছেন। দুইটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোহান ও ফজলুরকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি কর্তন হওয়া জিহ্বা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।