‘ফণী’র গতি প্রকৃতি পর্যালোচনা করছি, প্রস্তুতি আছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, “আমরা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা করছি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি ওই ঘূর্ণিঝড় দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে আঘাত হানতে পারে।” তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য দেশের উপকূলীয় এলাকাসমূহে ফায়ারসার্ভিস, কোস্টগার্ড ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্ধার তৎপরতাসহ সামগ্রিক বিষয়গুলো তদারকি করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগের চেয়ে আমাদের সক্ষমতা এখন অনেক বেড়েছে।’
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে আজ সকাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলের নদীগুলো উত্তাল হতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া কার্যালয় থেকে সবশেষ বার্তায় জানানো হয়েছে, আগামীকাল সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশে শুরু হবে। তবে এটি বিকেলে ভারতের ওডিশায় এবং সন্ধ্যায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানবে।
এরই মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাব মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আজ সকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, তারা সকাল থেকে দেশের সব নৌপথে নৌ চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে, ঘূর্ণিঝড়ের সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। এরই মধ্যে সদরঘাট, বরিশাল, বরগুনা থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। লঞ্চগুলোকে নিরাপদ স্থানে নোঙর করে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরে সব ধরনের পণ্য উঠানামার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাহাজগুলোকে বহিনোঙরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আজ সকাল ৯টায় মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।