ভৈরবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সাংবাদিক সংবর্ধনা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে প্রবীণ চার সাংবাদিককে সংবর্ধনাসহ সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে। এঁরা হলেন দৈনিক সংবাদের সাবেক ভৈরব প্রতিনিধি বশীর আহমেদ, দি অবজারভারের এম এ মতীন, আজকের কাগজের মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও ইনকিলাবের অধ্যাপক সামসুজ্জামান বাচ্চু।
বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় বিএফএ মিলনায়তনে চার সংগঠন ভৈরব প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, ভৈরব রিপোর্টার্স ক্লাব ও ভৈরব টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি, ভৈরব টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাংবাদিক এমএ লতিফ, এসএম বাকী বিল্লাহ, তাজুল ইসলাম তাজ ভৈরবী, মোস্তাফিজ আমিন, মো. সুমন মোল্লা, মো. তুহিন মোল্লা, সত্যজিৎ দাস ধ্রুব, বিল্লাল হোসেন মোল্লা, ওয়াহিদা রহমান পলি, আলাল উদ্দিন প্রমুখ।
সাংবাদিক নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসটি পালিত হয়ে এলেও খুন বা নির্যাতনের শিকার হওয়ায় সাংবাদিকরা তাদের বিচার পান না। এ সময় তারা দেশের আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম বার বার পিছিয়ে যাওয়াকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।
আসলেই কি গণমাধ্যম আর গণমাধ্যমকর্মীরা মুক্ত? এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বক্তারা বলেন, যদি তাই হতো, তবে গণমাধ্যম বন্ধ হওয়া, যখন তখন কর্মী ছাটাই অথবা খুন, হামলা-মামলার শিকার হতেন না গণমাধ্যমকর্মীরা। আর এসব সমস্যা সমাধানে দেশের প্রতিটি গণমাধ্যমকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানা তারা।
তারা এ প্রসঙ্গে বলেন, স্থানীয় কিংবা আঞ্চলিক অথবা জাতীয়, দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের অনৈক্যের সুযোগে স্বার্থবাদী সবমহল তাদের স্বার্থ হাসিলে তৎপরতা চালাচ্ছে। দেশের সবপ্রান্তের প্রান্তিক লোকজনের দুঃখের কথা, অধিকারের কথা আর বঞ্চনার কথা গণমাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা গণমাধ্যমকর্মীরা দিন দিন অত্যাচার জুলুমের শিকার হয়ে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
মুক্ত আলোচনায় স্থানীয়ভাবে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যেসব অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এমন বিষয়গুলো তুলে ধরে বক্তব্য দেন সাংবাদিক কাজী আবদুল্লাহ আল মাছুম, আক্তারুজ্জামান, আবদুর রউফ, আদিল উদ্দিন, খাইরুল ইসলাম সবুজ, এম এ হালিম, ফজলুর রহমান বাবু, এমআর রুবেল, সোহেল সেন, আল-আমিন টিটু, মো. শাহিনূর, রাজীবুল হাসান, মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, মিলাদ হোসেন অপু, জামাল উদ্দিন, হৃদয় আজাদ, জামাল মিয়া, মো. জাকির হোসেন, মনিরুজ্জামান ময়না, আহমেদ হুমায়ূন, জই পরশ, সজীব আহমেদ প্রমুখ।
আলোচনা শেষে প্রবীণ সাংবাদিকদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথি সাংবাদিক নেতারা। এ সময় প্রবীণ সাংবাদিকরা তাঁদের মূল্যায়িত করার জন্য নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত সব সাংবাদিককে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০১৯’ লেখা একটি মগ উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। সবশেষে একসঙ্গে রাতের খাবার খান সাংবাদিকরা।