পাঁচ আসামি আটদিন করে রিমান্ডে
কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে এক নার্সকে গণধর্ষণ শেষে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আল মামুন আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
এ দিকে গতকাল বিকেলে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নার্স শাহীনূর আক্তার তানিয়ার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে জেলার সিভিল সার্জন ডা. হাবীবুর রহমান জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে, ধস্তাধস্তির কারণেই এই জখম হয়েছে। তাছাড়া নিহতের যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণের আলামত ও আঠালো পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়, ভিকটিমকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে।
ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে গতকাল গভীর রাতে রাতে নিহত নার্স শাহীনূর আক্তার তানিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার জাহান আজ দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিরা হচ্ছেন বাসচালক নূরুজ্জামান, চালকের সহকারী লালন মিয়া, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া ও বকুল মিয়া।
রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত নার্স তানিয়া গত সোমবার বিকেলে নিজ বাড়িতে আসার জন্য ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে উঠে রওনা হন। বাসটি কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া জামতলী নামক স্থানে পৌঁছার পর বাসের চালক ও সহকারীসহ অন্যরা ধর্ষণ করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ওই এলাকা থেকে তানিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারের পর রাত পৌনে ১১টার দিকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।