ক্রেতা সেজে মাংসের দোকানে ইউএনও, পরে জরিমানা
ছদ্মবেশে বেশি দামে গরুর মাংস কিনে তিন মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন।
বৃহস্পতিবার সকালে হাটহাজারী বাস স্টেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ অভিযানের অংশ হিসেবে দুটি দোকানে যান ইউএনও রুহুল আমীন। এ সময় গরুর মাংসের ক্রেতা সেজে দাম জানার সময় দোকানি ক্রেতা ভেবেই অন্যদের মতো ইউএনওর কাছে দাবি করেন, প্রতি কেজি ৭০০ টাকা। পাশে আরেক দোকানে গেলে ওই মাংস ব্যবসায়ী ক্রেতাকে ৫০ টাকা সম্মান করে, ৬৫০ টাকা দাম বলেন।
পরে ছদ্মবেশ খোলা মাত্রই দোকানিরা চিনে ফেলেন ইউএনওকে। মুহূর্তে কমিয়ে দেন মাংসের দাম। ইউএনও তাঁদের বলেন, মূল্য তালিকার সঙ্গে আপনাদের দাম মিলছে না। পরশু আপনারা আমার সঙ্গে মিটিং করে দাম ঠিক করলেন। এখন সেটাই মানছেন না।
এ সময় চড়া দামে মাংস বিক্রির দায়ে তিনজন মাংস ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ইউএনও রুহুল আমীন জানান, রমজান মাসে গরুর কোনো সংকট না থাকলেও এভাবে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
‘রমজানে বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে গরুর মাংসের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে ছদ্মবেশে অভিযান চালাই হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড ও বাজারের বিভিন্ন মাংসের দোকানে। তিন দিন আগে তাদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৫০০ থেকে ৫৭০ টাকায় মান ভেদে মাংস বিক্রি করবেন। কিন্তু বাস্তবে তাঁরা কথা রাখেননি। বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।’ বলেন ইউএনও।