‘তিউনিশিয়া উপকূলে ৩৭ বাংলাদেশির মৃত্যু, ১৪ জন জীবিত উদ্ধার’
তিউনিশিয়া উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকায় ৫১ বাংলাদেশির মধ্যে ৩৭ জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ১৪ জন বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
এই দুর্ঘটনাকে দুঃখজনক মন্তব্য করে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশিদের বিষয়ে খোঁজ নিতে লিবিয়া থেকে কর্মকর্তারা তিউনিশিয়া যাচ্ছেন। হতাহতদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।
লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেওয়া ৭৫ জন অভিবাসী বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায় তিউনিশিয়া উপকূলে। শনিবার রেড ক্রিসেন্ট ও সংবাদ সংস্থা এএফপিসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, অভিবাসী বহনকারী নৌকাটির বেশিরভাগ যাত্রীই ছিল বাংলাদেশি। তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবি এবং হতাহত বাংলাদেশিদের সবশেষ অবস্থা জানাতে রোববার ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শোনা যাচ্ছে ওই ৭৫ জনের মধ্যে বাঙালি ছিল ৫১ জন। আর ১৪ জন বাঙালিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে ওই বোটে ৫১ জন বাঙালি থাকলে ৩০ থেকে ৩৫ জন প্রবাসী বাঙালি মারা যেতে পারেন। ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক। ত্রিপোলি থেকে আমাদের কর্মকর্তা সরেজমিনে যাচ্ছেন, উনি দেখে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় মন্ত্রী জানান, লিবিয়ায় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করায় দেশটিতে বাংলাদেশিদের যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, লিবিয়ায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছেন বহু মানুষ।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে সরাসরি লিবিয়ায় এখন যাওয়া যায় না। সম্ভবত মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে গিয়ে তারপর সেখানে যাচ্ছেন। লিবিয়া আমরা মোটামুটিভাবে বন্ধ করে দিয়েছি, কারণ ওখানে যুদ্ধ চলছে, অনিশ্চয়তা রয়েছে।
একইসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় হতাহতদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করবে সরকার।