‘ভূমধ্যসাগরে নিহত বাংলাদেশিদের লাশ ফিরিয়ে আনা হবে’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, তিউনিসিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত বাংলাদেশিদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে নৌকাডুবির ওই ঘটনায় কতজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন সে বিষয়ে এখনো সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আজ মঙ্গলবার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে ডিজিটাল জন্ম মৃত্যু সার্টিফিকেট প্রদান সংক্রান্ত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব ট্রাভেল এজেন্সি তরুণদের বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে, সেসব এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তরুণরা যেন বিদেশে যেতে গিয়ে মৃত্যুফাঁদে না পড়ে সে ব্যাপারে সরকার কাজ করবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আসলে এখন একটা গ্যাপের মধ্যে আছি। আমাদের অ্যাম্বাসেডর সাহেব গেছেন, সাথে আরেকজন গেছেন। কিন্তু এখনো তথ্যগুলো আমরা পাইনি।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘জানা গেছে পাঁচজনের লাশ পাওয়া গেছে। আমরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেহেতু তারা বাংলাদেশের নাগরিক এবং তাদের লাশ যদি দেশে আনতে হয় আমরা তাদের লাশ নিয়ে আসব।’
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৬৫ জন অভিবাসীর অধিকাংশই ছিলেন বাংলাদেশি। এ ছাড়া ওই নৌকাডুবিতে যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়, তার ১৪ জনই বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে গত রোববার সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানায়।
উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানান, ওই নৌকায় অন্তত ৫১ বাংলাদেশি ছিলেন। এ ছাড়া তাঁদের মধ্যে মিসরের তিনজন, মরক্কো, শাদ ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের আরো কয়েকজন নাগরিক ছিলেন।
বিবিসি জানায়, দুর্ঘটনার শিকার নৌকাটি গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ার জুয়ারা শহর থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেয়। এর মধ্যে গভীর সাগরে যখন তাঁদের বড় নৌকা থেকে ছোট নৌকায় তোলা হয়, তার কিছুক্ষণ পরই সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মুখে নৌকাটি ডুবে যায়।
এদিকে, নৌকাডুবির পর তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে জারজিজ শহরের তীরে নিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানান, সাগরের ঠাণ্ডা পানিতে প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন তাঁরা।