ঢাকার যেসব স্থানে যেসব জেলার ট্রেনের অগ্রিম টিকেট মিলবে
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট আগামী ২২ মে থেকে বিক্রি শুরু হবে। ২২ মে দেওয়া হবে ৩১ মের অগ্রিম টিকেট। এরপর ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ মে দেওয়া হবে যথাক্রমে ১, ২, ৩ ও ৪ জুনের অগ্রিম টিকেট। এবারই প্রথম মোট টিকেটের ৫০ ভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
বুধবার রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে। বিমানবন্দর স্টেশন থেকে বিক্রি হবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট। তেজগাঁও স্টেশন থেকে বিক্রি হবে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট। বনানী স্টেশন থেকে বিক্রি হবে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট এবং ফুলবাড়িয়া পুরোনো রেলভবন থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা টিকেট বিক্রি হবে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এবার আমরা ৫০ ভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবশিষ্ট টিকেট পাঁচটি স্থান থেকে যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিক্রি করা হবে। যাতে সহজে ভিড় এড়িয়ে যাত্রীরা টিকেট সংগ্রহ করতে পারে, সেই জন্যই এ আয়োজন।
এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী বলেন, কোনো অবস্থাতেই টিকেট নিয়ে কালোবাজারি করতে দেওয়া হবে না। আমরা অত্যন্ত কঠোরভাবেই এটা মনিটরিং করছি।
মন্ত্রী বলেন, অন্যান্যবারের মতো একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কিনতে পারবেন। টিকেট কেনার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। নিয়মিত ট্রেনের সঙ্গে ঈদে আট জোড়া স্পেশাল ট্রেনও থাকছে। যাত্রীদের টিকেট নিয়ে এবার কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি আশা করেন।
ঈদের পর ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু হবে ২৯ মে থেকে। রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে। ২৯ মে প্রথম দিনে পাওয়া যাবে ৭ জুনের টিকিট। ৩০ ও ৩১ মে পাওয়া যাবে ৮ ও ৯ জুনের এবং ১ ও ২ জুন পাওয়া যাবে ১০ ও ১১ জুনের টিকেট।
এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের তিন দিন আগে থেকে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া কোনো মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে না।
এ ঈদের সময় প্রতিদিন সব ট্রেনে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করবেন বলে আশা করেন মন্ত্রী।