তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও লেখক ইমতিয়াজ মাহমুদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার এ আদেশ দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রকিবুল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

রকিবুল জানান, ২০১৭ সালে ইমতিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি খাগড়াছড়ি সদর থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন। সে মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে আজ সকালে বনানীর নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে দুপুরে তাঁকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ জুলাই রাত সোয়া ১২টার দিকে ইমতিয়াজ মাহমুদ ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টিমূলক একটি পোস্ট করেন। তাঁর এ পোস্ট খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার যেকোনো স্থানে পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ উসকানি ছিল বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এর পরে  ২ জুলাই ইমতিয়াজ মাহমুদ আরেকটি মিথ্যা পোস্ট দেন  এবং ৬ জুলাই ও ১০ জুলাই তিনি আরো পোস্ট দেন। ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত আসামির পোস্টগুলো উসকানিমূলক, যা পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী।