ধর্ষণের পর ধর্ষণ, পুলিশ কনস্টেবলের জামিন
এক নারীকে দুই বছর পাঁচ মাস ধরে ধর্ষণ করার মামলায় পুলিশ কনস্টেবল তরুণ কান্তি বিশ্বাসকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে গত ২০ জানুয়ারি একই আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আসামি হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। সে জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তরুণ কান্তি বিশ্বাস। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজমের আদালতে মামলা করেন ওই নারী। এর পরে বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। পরে গত বছরের ২০ নভেম্বর পিবিআইয়ের পরিদর্শক শামীম আহমেদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের মে মাসে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কনস্টেবল তরুণ কান্তি বিশ্বাস ওই নারীর ভাড়া করা বাসায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া নেন। একদিন দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নারীকে অচেতন করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন তরুণ। পরে সেটি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে নানা সময়ে ধর্ষণ করেন তিনি।
এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই নারী।