৪০৬টি পণ্য থেকে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর অবশিষ্ট ৯৩টি পণ্য পরীক্ষার ফলাফলও জমা দিতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী ১৬ জুন বিএসটিআই কর্তৃপক্ষকে ওই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম ও বিএসটিআইয়ের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আর হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

শুনানিকালে কনসাস কনজুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) পক্ষে একটি আবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। ওই আবেদনে বলা হয়, ৪০৬টি পণ্য থেকে ৩১৩টি পণ্য পরীক্ষার ফলাফল গত ২ মে প্রকাশ করে বিএসটিআই। কিন্তু এখনো তারা বাকি ৯৩টি পণ্যের মান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেনি। এরপর আদালত ওই ৯৩টি পণ্য পরীক্ষার ফলাফল আদালতে দাখিলে সময় বেঁধে দেন।

পরে কনসাস কনজুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) পক্ষের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘বিএসটিআই ৪০৬টি পণ্যের মান পরীক্ষা করে ৩১৩টির ফলাফল প্রকাশ করেছে। কিন্তু আরো ৯৩টি পণ্য পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করায় আমরা ওই পণ্যগুলোর নাম বা মান সম্পর্কে জানতে পারছি না। যার কারণে এ বিষয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছি।’

এর আগে গত ১২ মে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) এর পরীক্ষায় প্রমাণিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে যত দ্রুত প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।  একইসঙ্গে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে এ নির্দেশ পালন করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন আদালত। পাশাপাশি পণ্যগুলোর বিষয়ে যথাযথ আইন অনুসারে তা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।  এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট ভেজাল পণ্যের মানোন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত তা উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন আদালত।