আইনজীবীকে জুতা দেখানোয় বিচারপ্রার্থীকে মারধর
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা। ঢাকার জেলা জজ আদালতের সামনে বিশাল হইচই।
সামনে গিয়ে দেখা যায়, একজনকে পেটাচ্ছেন কয়েকজন আইনজীবী। দেখে মনে হলো, কোনো মোবাইল বা মানিব্যাগ চোর। কিন্তু না, বোরকা পরা এক নারী বিচারপ্রার্থীকে কয়েকজন আইনজীবী মারধর করছেন। ব্যথায় সেই নারী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেই নারীকে গালাগাল করতে থাকেন আইনজীবী। উপস্থিত অন্য বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের মধ্যস্ততায় সেই নারীকে রক্ষা করে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও টাউট উচ্ছেদ কমিটির সদস্য ইব্যাহিম খলিল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ঢাকা বারের কমিটির সঙ্গে কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে এক নারী মামলা চলার সময় এক আইনজীবীকে জুতা দিয়ে মারতে চাওয়ায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে ঢাকা বারে নিয়ে এলে সেই নারীর কাছে আইনজীবী ক্ষমা চাইলে বার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়।
ঢাকা বারের কার্যনির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য তানভীর আহমেদ সজীব বলেন, একটি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই নারীর দাবি, বিপক্ষের আইনজীবী মিথ্যা কথা বলেছেন। তাই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওই আইনজীবীকে খারাপ কথা বলেছেন।
সজীব বলেন, আদালতে মামলা চলার সময় দুই পক্ষ থাকে। প্রথমপক্ষ ও প্রতিপক্ষে দুজন আইনজীবী থাকেন। ক্লায়েন্টদের জন্য একেকজন একেক রকম বক্তব্য আদালতে দেন। এতেই আইনজীবী ও নারী বিচারপ্রার্থীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বারে এ বিষয়ে সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে মাহফুজ নামের এক আইনজীবী বলেন, একজন নারী অপরাধ করলেও তাঁকে জনসম্মুখে এভাবে চোরের মতো মারা ঠিক হয়নি। সেজন্য ঢাকা বারে সালিশের ব্যবস্থা করা যেত অথবা আদালতে মানহানির অভিযোগে মামলা করার সুযোগ রয়েছে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচি বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’