নিউ মার্কেট গাউসিয়ায় ভিড়, অতিরিক্ত দাম চাইছেন বিক্রেতারা
এক চিলতে ফাঁকা স্থান নেই। হাঁটা-চলার জায়গা নেই। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দর কষাকষির সুযোগ কম। মানুষে মানুষে ভরে গেছে রাজধানীর নিউ মার্কেট ও গাউসিয়া মার্কেট। ঈদের প্রায় দশদিন বাকি। পুরোদমে জমে উঠেছে কেনাকাটা।
যেমন ভিড় তেমন বিক্রি হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে বিকিকিনিতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন তারা। কিন্তু অতিরিক্ত দামের অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা। ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটায় থেমে নেই তারা।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিউ মার্কেট ও গাউসিয়া মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরকারের একটি অধিদপ্তরে চাকরি করেন জাহিদ হোসেন। মহাখালী থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন নিউ মার্কেট। স্ত্রীর জন্য কিনেছেন একটি জামদানি শাড়ি। দুই মেয়ের জন্য দুটি গারারা পোশাক কিনবেন তিনি। মোগল আমলের এই পোশাকটি এবার বেশ জনপ্রিয় হয়েছে বাংলাদেশে।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দুই মেয়ে পাগল করে দিচ্ছে গারারা নামের পোশাক কিনবে বলে। তারা অন্য কোনো পোশাক নিবে না। শুধু গারারাই নিবে। দুইটি দোকানে দেখলাম। কিন্তু দাম অনেক বেশি। তাই আরো দোকানে ঘুরে দেখব। ৫ হাজার টাকার ওপরে একেকটির দাম। স্ত্রীর জন্য একটি জামদানি শাড়ি কিনেছি। নিজের জন্যও একটা পাঞ্জাবী কিনব।’
জাহিদ হোসেনের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে তনু বলে, ‘গারারা কিনতেই এসেছি। আর কিছু নেব না। আমার বান্ধবীরা সবাই এই পোশাক কিনেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নাদিয়া চৌধুরী ও শারমিন নাহার এসেছিলেন গাউসিয়াতে কেনাকাটা করতে। নাদিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আজ শনিবার এত ভিড় হবে বুঝিনি। গাউসিয়াতে ঢোকা যাচ্ছে না। কাল গ্রামের বাড়িতে যাব। না হলে অন্যদিন আসতাম।’
মোহাম্মদপুর থেকে আফরিন নাহার ছোট মেয়েকে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসেন গাউসিয়া মার্কেটে। তিনি বলেন, আজ অফিস ছুটি বলে মেয়েকে নিয়ে এসেছি ঈদের কেনাকাটা করতে। এ ছাড়াও বাড়ির জন্য কিছু জিনিসপত্র কেনার দরকার। তবে ঈদের কারণে সব কিছুর দাম বেশি। কম কম কিনে ঈদের পরে আবার আসতে পারি।
নিউ মার্কেটের শিল্পী ফ্যাশনের পরিচালক মো. রাজু বলেন, ‘এবার গারারা নামের পোশাকটি প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হলেও পোশাকটি অনেক বিক্রি হচ্ছে। আরো বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করছি। এছাড়া অন্য পোশাকও ভালো বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার বাজার ভালো।’
এ ছাড়া কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এনটিভি অনলাইনের। এদের মধ্যে আরিফ পাঞ্জাবী হাউজের বিক্রেতা অনিল কুমার বলেন, ‘খুব বেশি বিক্রি না হলেও মোটামুটি ভালো। গত ঈদেও আমি এই দোকানে ছিলাম। সেবার এবারের মতো বিক্রি হয়নি। তবে লোকে লোকে ভরা থাকলেও সেই অনুযায়ী বিক্রি কম। অনেকেই ঈদের সময় মার্কেট ঘুরতে আসে।’