আগামী বাজেট হবে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ১৩ জুন তাঁর সরকার আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবে, যার আকার হবে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি।
শনিবার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের জন্য দেওয়া এক ইফতার মাহফিলে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। বার্তা সংস্থা বাসসের এক খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছিল তখন বাজেটের আকার ছিল ছোট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন উন্নয়ন বাজেটের আকার ছিল ১৮/১৯ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু পরবর্তী অর্থবছরে আমরা ২ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট প্রণয়ন করেছি।’
দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে একটি সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে আমরা তার জন্য সব ব্যবস্থা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার চায় প্রতিটি মানুষ তার মৌলিক অধিকার নিয়ে বাঁচুক। একটি মানুষও গৃহহীন ও চিকিৎসাহীন না থাকুক এবং শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হোক।
জাতিকে আবারও সেবা করার জন্য তাঁর সরকারকে পুননির্বাচিত করায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা আবারো বলেন, ক্ষমতা তাঁর কাছে উপভোগ করার বিষয় নয়, বরং জাতিকে সেবা করার একটি সুযোগ। তিনি বলেন, ‘এই আদর্শ অনুসরণ করে আমি দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং এর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া এবং প্রতিটি মানুষকে একটি সুন্দর জীবন উপহার দেওয়া।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ৯৩ শতাংশ লোক এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে এবং তাদের জীবন মান উন্নত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার নামিয়ে ১১ শতাংশে এনেছি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আর কোনো চরম দরিদ্র থাকবে না, ইনশা আল্লাহ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ্য নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ, জেপি মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিসবাউর রহমান চৌধুরীসহ কয়েকজন অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ও সাম্যবাদী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা ইফতার পার্টিতে অংশ নেন।
৩০ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া অনেক রাজনৈতিক দলের রাজনীতিবিদরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।