বিড়ি শ্রমিকদের ৬ দফা দাবি এনবিআরে
বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণা ও ভারতের মতো প্রতি হাজার বিড়িতে ১৪ টাকা করারোপসহ ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। রোববার সকাল ৯টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে এনবিআরের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।
ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সভাপতি এম.কে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রমুখ। মানববন্ধনে সারাদেশ থেকে আগত সহস্রাধিক বিড়ি শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।
ফেডারেশনের সভাপতি এম.কে বাঙ্গালী বলেন, দেশে ধূমপান থাকলে বিড়ি থাকবে। সিগারেটকে রেখে বিড়ি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে বিড়ির ওপর কর বৃদ্ধির পাঁয়তারা করা হলে বিশ লক্ষাধিক বিড়ি শ্রমিক নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। চর, নদীভাঙন ও মঙ্গা অঞ্চলের বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে বিড়ির ওপর কর কমানোর জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, শ্রমজীবী মানুষের একমাত্র আশ্রয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সুদৃষ্টি দিবেন বলে আশা করি।
মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বিড়ি শিল্প বৈষম্যের শিকার। এ কারণে এই শিল্পের শ্রমিক, কারখানা প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। অসহায় হয়ে পড়ছে লাখ লাখ শ্রমিক। বিশেষ করে নদী ভাঙন এলাকা, মঙ্গা অধিভুক্ত এলাকা যেখানে বেলে মাটিতে তামাক ছাড়া অন্য ফসল হয় না সেখানকার চাষি, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা নিদারুন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। অথচ পাশের দেশ ভারত বিড়ি শিল্পকে সুরক্ষার জন্য কুটির শিল্প ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশে বিড়ি বন্ধ করলে পাশের দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে বিড়ি ঢুকবে। এতে সরকার রাজস্ব হারাবে, বিড়ি শ্রমিকরা হারাবে তাদের দুমুঠো ভাতের যোগাড়। অসহায় হয়ে পথে বসবে নিরীহ বিড়ি শ্রমিকরা।
মানববন্ধনে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসি। দাবিগুলো হলো বিড়ি শিল্পকে ভারতের মতো কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। চর, নদীভাঙন ও মঙ্গা অঞ্চলের বেকার মানুষের কর্মসংস্থানকে সহজ করার জন্য বিড়ির ওপর করমুক্ত ঘোষণা করতে হবে। শ্রমিক সুরক্ষার আইন তৈরি করতে হবে। নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেট একীভূত করে সমমূল্যে করতে হবে। উচ্চ স্তরের সিগারেটের মূল্য অধিকহারে বৃদ্ধি করতে হবে।