খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে ফরিদপুরে দোয়া ও ইফতার মাহফিল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও শারীরিক সুস্থতা কামনায় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কোনাগ্রামে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সদ্য কারামুক্ত নেতা শহিদুল ইসলাম বাবুলের উদ্যোগে তাঁর বাসভবনে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ।
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বলেন, ৭২ বছর বয়সী একজন প্রবীণ নারী ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাগারে অন্তরীণ রেখে অমানবিক নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। দেশে এখন আইনের শাসন বলতে কিছুই নেই। তাই খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। সরকার আদালতগুলোকে প্রতিপক্ষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এভাবে কোনো সভ্য দেশ চলতে পারে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে এই সরকারের পরিণতি হবে ভয়াবহ। সরকার সবক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়ে গণবিস্ফোরণের ভয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে অন্তরীণ রেখেছে। এতে তাদের শেষ রফা হবে না। খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
তালমা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. আব্দুস সাত্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি জাফর হোসেন ও এ কে এম কাইয়ুম জঙ্গি বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে কিবরিয়া স্বপন, শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ, সালথা বিএনপির সাবেক সভাপতি আতিয়ার কবির, ভিপি সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েসসহ সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
আলোচনা সভাশেষে বিশেষ দোয়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। একইসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও দীর্ঘায়ু এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করা হয়। ফরিদপুর, নগরকান্দা ও তালমাসহ বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।