সরকারি গুদামে অবৈধ মজুদ সন্দেহে ২২ টন গম জব্দ
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা খাদ্য গুদামে রাতের আঁধারে অবৈধ মজুদ সন্দেহে এক ট্রাক গম জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার রাত ১০টার দিকে গমসহ ট্রাকটি আটক করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে গম জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরিফুল ইসলাম।
ইউএনও জানান, কৃষকের নাম করে পত্নীতলা সরকারি খাদ্য গুদামে অবৈধভাবে গম মজুদ করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে গুদামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অবৈধভাবে মজুদের জন্য আনা ২২ টন গমসহ একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট ২০- ৩৭৩৫) জব্দ করা হয়। গমগুলো ওই ট্রাকে ত্রিপল দিয়ে ঢাকা আছে।
শরিফুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কৃষকের নামে অবৈধভাবে গম মজুদ করার চেষ্টা করছিল। এ জন্য লোকচক্ষু এড়াতে সন্ধ্যার পর ট্রাক বোঝাই করে গমগুলো খাদ্য গুদামে আনা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি গঠন করে এ ঘটনা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। অবৈধভাবে গম মজুদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পত্নীতলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) মশিউর রহমান বলেন, উপজেলার দিবর ইউনিয়নের ১১ জন কৃষক দুই মেট্রিক টন করে তাদের উৎপাদিত গম একটি ট্রাকে করে সরবরাহ করতে এনেছেন। এগুলো কোনো অবৈধ গম না, কৃষকদের উৎপাদিত গম।
সন্ধ্যার পর অত্যন্ত গোপনে কেন এ গমগুলো খাদ্য গুদামে নিয়ে আসা হলো বা কোন কোন কৃষক এ গম সরবরাহ করেছেন এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
২২ টন গম আটকের বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৬টার দিকে মোবাইল ফোনে নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গমগুলো কী উদ্দেশ্যে খাদ্য গুদামে আনা হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জি এম ফারুক বলেন, পত্নীতলা খাদ্য গুদামে এখন তদন্ত চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পত্নীতলা খাদ্য গুদামে বসেই বিষয়টি তদন্ত করছেন। এ বিষয়ে তিনি পরে বিস্তারিত কথা বলবেন বলে জানান।