ঈদের আগেই খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইল শত নাগরিক
আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবি জানিয়ে শত নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, আমরা অত্যন্ত ব্যথিত ও উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ করছি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে প্রতিহিংসামূলক সাজানো মামলা থেকে উচ্চতর আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন দিলেও, নানা প্রকার চালাকি-চার্তুযের মাধ্যমে আরো ৩৪টি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁর কারামুক্তির পথকে সংকুল করে তুলেছে সরকার।
তাঁরা বলেন, সরকারের এই অন্যায় আচরণ একদিকে যেমন অমানবিক, অন্যদিকে তেমনি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এসব কর্মকাণ্ডের একটাই কারণ থাকতে পারে, এই মহিয়সী নেত্রীকে তিল তিল করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। আদালতের কাঁধে সওয়ার হয়ে সরকার তাঁকে এক ধরনের হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে আমাদের ধারণা।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে, সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরদ্ধার ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ইতিহাসে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে, দেশের অর্থনীতি, শিল্পায়ন, কৃষি, শিক্ষা, নারীর সামগ্রিক উন্নয়নে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দুর্যোগ মোকাবিলার ইতিহাসে খালেদা জিয়া যে অবদান রেখেছেন, তা আমাদের জাতীয় ইতিহাসে চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বিবৃতিতে শত নাগরিক আরো বলেন, সেই জন্যই খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশকে ‘এশিয়ার ইমার্জিং টাইগার’ হিসেবে বিশ্ববাসী সম্মান দেখেয়েছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সেই মহান নেত্রী আজ ন্যূনতম মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। তাঁর প্রতি প্রদর্শিত এই হৃদয়হীন আচরণ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। আমরা প্রত্যাশা করি, কল্যাণ, মঙ্গল ও শ্রেয়বোধ আমাদের অন্তরাত্মাকে জাগিয়ে দেবে। সত্য ও সুন্দরের পথে সরকার এগিয়ে আসবে। তারা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। আমরা আশা করি, সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেবে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, মো. আসাফউদ্দৌলা, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. মাহবুব উল্লাহ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, প্রফেসর আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, আবদুল হাই শিকদার, ড. খন্দকার মুশতাহিদুর রহমান, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, ড. সদরুল আমিন, প্রফেসর আবদুর রহমান সিদ্দিকী, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, ড. মোসলেহ উদ্দীন তারেক, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, আলমগীর মহিউদ্দিন, এরশাদ মজুমদার, এম আবদুল্লাহ, এম এ আজিজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, ড. রাশিদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার আ ন হ আখতার হোসেন, প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. জেড এম তাহমিদা বেগম, ড. আখতার হোসেন খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।