কারাগারে যুবলীগকর্মী অমিত খুন : তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা মামলার আসামি রিপন নাথের ইটের আঘাতে আরেক হত্যা মামলার আসামি যুবলীগকর্মী অমিত মুহুরি নিহতের ঘটনায় এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মাশহুদুল কবীরকে প্রধান করে ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ ঘটনায় রিপন নাথকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর সেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অমিত মুহুরির মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন রিপন নাথ। পরে অমিতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, অমিত মুহুরী, বেলাল ও রিপন নাথ ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বন্দি ছিলেন। ঘটনার সময় বেলাল ঘুমাচ্ছিলেন। তবে কী কারণে রিপন ও অমিতের মধ্যে হাতাহাতি থেকে এত বড় ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান মাশহুদুল কবীর জানান, এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রিপন নাথ কিছুই বলছেন না। বেলাল ঘুম থেকে উঠে দেখেন রিপন ও অমিত ঝগড়া করছেন। এ সময় দুজনের ঝগড়া মেটানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বেলাল। একপর্যায়ে রিপন ইট দিয়ে অমিতকে আহত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় অমিতকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান তিনি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অমিতের মৃত্যু হয়। এ খবর মহানগর যুবলীগের একটি অংশ হেলাল আকবর বাবরের সমর্থকদের কাছে পৌঁছালে তারা হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড ভাঙচুর করে। এ সময় ওয়ার্ডের রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অমিতের বিরুদ্ধে পূর্বাঞ্চল রেলের টেন্ডার নিয়ে সংঘর্ষের পর জোড়া খুনসহ হত্যা, চাঁদাবাজির ১৫টি মামলা রয়েছে। হত্যা ও সন্ত্রাসের অভিযোগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশ তাঁকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল।