‘আন্দোলন ছাড়া কোনো উপায় নেই’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে এখন অস্বাভাবিকতা বিরাজ করছে। এই অস্বাভাবিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আন্দোলন ছাড়া কোনো উপায় নেই। আর সে আন্দোলন করবে ছাত্র-জনতা, শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষ, আমাদের তাদের কাছে যেতে হবে।
দুদু বলেন, ঘরে বসে থেকে কথা বলে কোনো লাভ নেই। রাস্তায় নামার পথ খুঁজতে হবে। প্রয়োজনে একাত্তরের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করতে হবে। কারণ আন্দোলন ছাড়া এ দেশে কোনো ভালো কিছু অর্জন হয় নাই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে দুদু এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশ এখন একনায়কতন্ত্র, অনৈতিক, একদল কেন্দ্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিকভাবে চলছে। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, দেশের মানুষের অধিকারের জন্য, আর যারা এর বিপক্ষে ছিল তারা ছিল পাকিস্তানের স্বৈরশাসকের পক্ষে। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছে তারা গণতন্ত্রের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে, মানুষের অধিকার আদায়ের পক্ষে কাজ করছে না। তারা এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা, এই জায়গা থেকে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন মহাবীর, তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষক নন, তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রপতি, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে তিনি এমন একজন নেতা ছিলেন, যিনি সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে আলোকিত করেছিলেন।
দুদু বলেন, পাকিস্তানকে আমরা খারাপ ভাবি, সেই পাকিস্তান ১৯৭০ সালের নির্বাচন রাতে করেনি। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে নির্বাচন আগের রাত্রে করা হয়েছে। সেই জন্য বলি দেশে এখন অস্বাভাবিকতা বিরাজ করছে। এ অস্বাভাবিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আন্দোলন ছাড়া কোনো উপায় নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার পথ আন্দোলনের পথ। সেই জন্য সবাই আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। আন্দোলনের পথ খুঁজে বের করি। সেই আন্দোলনকে সফল করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।