সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় বাস ও লেগুনায় মুখোমুখি সংঘর্ষ আটজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। নিহত ব্যক্তিরা সবাই লেগুনার যাত্রী। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন উল্লাপাড়ার বড়হর গ্রামের ইনসাফ আলীর ছেলে আক্তার (৪২), কয়রাকৃষ্ণ গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে নূর-ইসলাম (৪৫), জব্বারের ছেলে মোহাম্মদ (৩৫), সবুজ (২৫) ও জয়নাল সরকারের ছেলে জয়েন উদ্দীন (৫০), বেদকান্দি গ্রামের গফুর ফকিরের ছেলে মান্না (৪৫) ও পাগলা গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে রেজাউল (৩৫) এবং কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ি গ্রামের মৃত ফকির আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩২)।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ জানান, জেলার শাহজাদপুর থেকে যাত্রীবাহী একটি লেগুনা হাটিকুমরুল মোড় যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে পাবনাগামী পাবনা এক্সপ্রেস বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। লেগুনাটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই লেগুনার আট যাত্রী নিহত ও ১৫ জন আহত হন। দুর্ঘটনার পর পরই চালক-হেলপার পালিয়ে যান।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় দুর্ঘটনাকবলিত পাবনা এক্সপ্রেস বাস। ছবি : এনটিভি

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। নিহত আটজনের লাশ উদ্ধার করে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের হাটিকুমরুল মোড়ের বেসরকারি সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাসটি আটক করলেও চালক-হেলপার পালিয়েছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

এর আগে আজ সকাল ৭টার দিকে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া বাজারে গনিগঞ্জ এলাকায় বাস ও লেগুনার মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত ও সাতজন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।