ঈদযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যের হবে : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘এবার ঈদের যাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যের হবে। ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নির্ঝঞ্ঝাট করতে সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যাত্রাপথে ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য আইনবিরোধী কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’
আজ রোববার দুপুর ১২টায় ঈদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নৌদুর্ঘটনারোধে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ডুবুরি, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় তিনি ঝুঁকিপূর্ণভাবে লঞ্চ না চালাতে লঞ্চ মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। মন্ত্রী অধিক লাভের আশায় সাধারণ যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ না করার অনুরোধ করেন। পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী , নৌপরিবহন সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে যুদ্ধ করা অসম্ভব হলেও মোকাবিলা করার যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই লঞ্চ না ছাড়তে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
এর আগে সকাল ১০টায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী কিশোরগঞ্জগামী সব শ্রেণির যাত্রীর সাথে কথা বলেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরিদর্শন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার রেল ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। নতুন রেললাইন নির্মাণ , রেলের বগি ও ইঞ্জিন সংগ্রহের লক্ষ্যে সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ করেছে । উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান, ৫৫টি ট্রেনের মধ্যে শুধু দূরপাল্লার তিনটি ট্রেন বিলম্বে আসাযাওয়া করছে।’ আগামী দুদিনের মধ্যে এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।