ভৈরবে রূপক হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সহপাঠীদের হাতে নির্মম হত্যার শিকার শিক্ষার্থী ফারদিন আলম রূপক (১৬) হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভৈরবের সর্বস্তরের জনগণ। রোববার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড় এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে বিভিন্ন স্তরের সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নিহত রূপকের সহপাঠী ছাত্রসমাজ, শিক্ষক সমাজ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিসহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ উদ্দিন আহমেদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন জামাল, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সৈকত প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা শিক্ষার্থী রূপকের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। এছাড়াও এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সহযোগী ও মদদদাতাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। মানববন্ধন শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার রাতে অপহরণের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রূপককে হত্যা করে তারই তিন সহপাঠী। পরদিন শুক্রবার দুপুরে রূপকের এক সহপাঠীর পৈতৃক ভবনের ছাদ থেকে রূপকের গলা কাটা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে ওই দিনই তিন সহপাঠীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন শনিবার কিশোরগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
শুক্রবার নিহত রূপকের বাবা নূরে আলম বিপ্লব বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন সহপাঠী রেজাউল কবির খাঁ, রবিউল আওয়াল রাব্বি ও আরাফাত পাটোয়ারী পিয়াল, রাব্বির চাচা শাহ সুফিয়ান ও আরাফাত পাটোয়ারী পিয়ালের বড় ভাই ইয়ারফাত পাটোয়ারীসহ আরো অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি মামলা করেন। শনিবার সকালে র্যাব শাহ সুফিয়ান ও ইরাফাত পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।