মাছ ধরা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে জেলেদের সড়ক অবরোধ
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মৎস্যজীবী জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন। তারা এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
আজ রোববার সকালে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ৪০টি জেলেপাড়ার নারী-পুরুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা হাজার হাজার মানুষ যানজটে আটকা পড়ে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।
গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার। এ সময়ে জেলেদের ৪০ কেজি করে চাউল প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়।
কিন্তু জেলেরা বলছেন, এটা দিয়ে তারা তাদের পরিবার চালাতে পারছে না। তাই তারা এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি করছে।
জেলে নেতারা বলেন, মাছ ধরার পেশার সঙ্গে চট্টগ্রামের প্রায় ৫০ হাজার পরিবার জড়িত। অথচ তাদের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। মাছ ধরে দৈনিক যা আয় করে তা দিয়েই সংসার চালায় জেলেরা। জেলেদের প্রশ্ন, প্রায় আড়াই মাস মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে এতগুলো পরিবার চলবে কীভাবে?
বিকল্প ব্যবস্থা না করলে এবং মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও এদিন জেলেরা হুঁশিয়ারি দেয়। কর্মসূচিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, জেলেরা তাদের নিজস্ব কিছু দাবিতে ঘণ্টাখানেকের মতো সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে এবং দাবি দাওয়ার বিষয়ে আজকেই ডিসি স্যারের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থার করে অবরোধ তুলে দিয়েছি। এখন যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে একই দাবিতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলেরা মানববন্ধন করে এবং গত ১ জুন সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।