রোহিঙ্গাদের সহায়তা করেও প্রধানমন্ত্রীর সুনাম নেই : হুইপ সামশুল
জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘এগারো লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে জায়গা করে দিয়ে বিশ্ব জননী শেখ হাসিনা মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। পৃথিবীর বড় দেশগুলো এটিকে ভালো চোখে দেখছে না। অথচ সাধারণ মানুষের উপর জুলুম করে অনেকেই নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে, মানবতার কাজ করে কোনো সুনাম অর্জন করতে পারছেন না।’
আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ঈদ পুনমিলর্নী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সামশুল হক চৌধুরী।
এ সময় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী গ্রামীণ ব্যাংকের সমালোচনা করে বলেন, ‘মানুষের কল্যাণের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হলেও এই ব্যাংক মানুষের কল্যাণের পরিবর্তে রক্ত চুষে খাচ্ছে। এর প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করছেন ব্যাংকটির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সাধারণ মানুষের অভিশাপে তাঁরা অভিশপ্ত হচ্ছেন।’
জাতীয় সংসদের হুইপ আরো বলেন, ‘ড. ইউনুসের নির্দেশে মানুষ ছাগল বিক্রি করে, টিন বিক্রি করে ঋণ শোধ করে স্বাবলম্বীহীন হয়ে পড়েছে। মানুষের কল্যাণ দূরে থাক, মানুষের রক্ত চুষে ইউনুস সেন্টার তৈরি হয়েছে। দেশে বিদেশে ব্যবসা করছে।’
জাতীয় সংসদের হুইপ আরো বলেন, ‘পৃথিবীর বড় দেশগুলো চায় ছোট দেশ, গরীব দেশ, অনুন্নত দেশ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাধারণ মানুষের উপর জুলুম ও নির্যাতন যারা করে, তাদের নোবেল পুরস্কার দিতে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে, মানবতার কাজ করে কোনো সুনাম অর্জন করতে পারছেন না। বড় দেশগুলো মানবতার কাজ ভালো চোখে দেখছে না।’
সামশুল হক বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারাদেশে ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসর নিয়েছেন, যাদের শ্রমে গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠান থেকে অবসর নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখনো চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা পাননি। যদিও সরকারি প্রজ্ঞাপনে এসব ভাতা ২০০৪ সাল থেকে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। সরকার ২০১৬ সালে ব্যাংকিং খাতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা বিবেচনা করে এ প্রজ্ঞাপন জারি ও কার্যকর করে। শুধু গ্রামীণ ব্যাংক এসব ভাতা পরিশোধ না করায় অবসর নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই।’
আগামীতে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা দেওয়া না হলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে সভায় জানান অন্যান্য বক্তারা।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমিতির সহ সভাপতি মো. মাঈন উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য এমরান হোসেন, গোলাম মোস্তাফা, মো. ফজলুল হক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আহাম্মদ, কামরুল হাসান শাহ্ ও সেলিনা আক্তার প্রমুখ।
এর আগে প্রধান অতিথি হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।