দ্রুতই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান পাওয়া যাবে, আশা মিয়াভির
রোহিঙ্গা সংকটের ভবিষ্যৎ সমাধান দ্রুতই পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, অভিনেতা ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত মিয়াভি।
দুদিনের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে গতকাল মঙ্গলবার মিয়াভি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে কী হওয়া প্রয়োজন। আমরা আশা করি, সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাহসী নেতৃত্ব পাওয়া যাবে, যা ভবিষ্যতে ভালো কিছু বয়ে আনবে।’
দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসা মিয়াভি গত শনিবার ও রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে দেখা করেন। এর আগে মিয়াভি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতেও বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু এবং তাদের ৫৫ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে।
মানবিক কারণে বিপুলসংখ্যক এ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয়দানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত মিয়াভি। তিনি বলেন, ‘গতবারের সফর থেকে এ পর্যন্ত ক্যাম্পগুলোতে অনেক উন্নতি হয়েছে। ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য সংস্থা শুধু শরণার্থীদেরই নয়, শরণার্থীদের প্রথম আশ্রয়দাতা স্থানীয় কমিউনিটিকেও সহায়তা করছে।’
স্থানীয় কমিউনিটি রোহিঙ্গাদের ভূমি ও অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে জানিয়ে মিয়াভি আরো বলেন, ‘স্থানীয় কমিউনিটি বিভিন্ন সহায়তা দিলেও আমার বিশ্বাস, রোহিঙ্গারা একসময় তাদের মর্যাদা ফিরে পাবে।’
বাংলাদেশে সফররত মিয়াভি কক্সবাজারের দুটি স্থানে রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন। এর মধ্যে কুতুপালংয়ে ১৯৯০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং অপরটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত লার্নিং সেন্টারে।