সবাইকে নিয়ে কমিটি চান ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা
বয়সসীমা উঠিয়ে দিয়ে সবাইকে নিয়ে কমিটি গঠনের দাবিতে আজো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা সাড়ে ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বিক্ষুব্ধরা। দুপুর ১টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন তাঁরা। ছাত্রদলের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতারা এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সাবেক কমিটির সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, ইখতিয়ার রহমান কবির, মামুন বিল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, কাজী মোক্তার হোসেন, মফিজুর রহমান আশিকসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।
বিক্ষুব্ধরা ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘সিন্ডিকেট দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ঘাপটি মারা দালালদের কালো হাত, গুঁড়িয়ে দাও, ভেঙে দাও’, ‘আমাদের সংগ্রাম, আমাদের ত্যাগ, বৃথা যেতে দেবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে সরব করে রাখেন।
ইখতিয়ার রহমান কবির ও আসাদুজ্জামান আসাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবির সমর্থনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
অন্যদিকে আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোক্তার বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ নয় বছর রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছি। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের দাবি তো অযৌক্তিক কিছু না। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বারবার আশ্বাস দিয়েও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
গত ৩ জুন রাতে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে দেয় বিএনপি। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। কাউন্সিলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ২০০০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতার শর্তারোপ করা হয়।
এর প্রতিবাদে গত ১০ জুন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে তাঁরা তাঁদের আন্দোলন স্থগিত করেন।
এর আগে গত রোববার থেকে বিক্ষুব্ধরা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন। মাঝে দুদিন বিরতি দেওয়ার পর আজ বুধবার থেকে আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।