নির্দিষ্ট সময়ে হজ ভিসা ইস্যু হয়নি, শিগগিরই হবে
১৮ জুন থেকে হজ ভিসা ইস্যু করার কথা থাকলেও, সৌদি কর্তৃপক্ষ কাজ শেষ করতে না পারায় তা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তবে দু-একদিনের মধ্যেই ভিসা ইস্যু করা শুরু করা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। মন্ত্রী আরো জানান, এবার আগেভাগেই হজ ফ্লাইটের টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় কোনো ফ্লাইট খালি যাবে না।
এ বছর পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে অর্ধেক হজযাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও বাকিরা যাবেন সৌদি এয়ারলাইনসে।
আজ বুধবার আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ্জযাত্রীদের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে বিমানের ৬০ হাজার ও সৌদি এয়ারলাইনসের ৩০ হাজার টিকেট ইস্যু করা হয়েছে। তবে হজ এজেন্সিদের সংগঠন- হাবের সভাপতি শাহাদাৎ হোসাইন তসলিম অভিযোগ করেন, সৌদি এয়ারলাইনস টিকেট বিক্রির নীতিমালা মানছে না।
শাহাদাৎ হোসাইন তসলিম বলেন, ‘জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালা ২০১৯ অনুসারে যেসব এয়ারলাইনস হজযাত্রী পরিবহনে কাজ করবেন উনাদের প্রতি নির্দেশনা আছে, নীতি ও বিধি আছে যে উনারা সরাসরি হজ এজেন্সিকে তার হজযাত্রীর সংখ্যা অনুসারে টিকেট দিবেন। কোনো একক এজেন্সিকে তিন শতাধিক টিকেট দিতে পারবে না। কঠোরভাবে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি ডিল করার চেষ্টা করেছে। তার পরও সৌদি এয়ারলাইনস কর্ণপাত করেনি। টিকেট তারা ঠিকই নির্দিষ্ট, সীমিত কয়েকটি এজেন্সির কাছে দিয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের এজেন্সিগুলো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘সৌদি এয়ারলাইনস সৌদি সরকারের আওতাধীন। এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
এ ছাড়া ১৮ জুন হ্জ ভিসা ইস্যু শুরু করার কথা থাকলেও কেন তা হয়নি জানতে চাওয়া হয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর কাছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সব চেষ্টা-প্রচেষ্টা আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও সত্যি কথা হচ্ছে গতকাল থেকে শুরু হয়নি। তারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বলছে ১৮ তারিখের আগে কোনো প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেনি। ১৮ তারিখ চলে গেলেও তারা ওই প্রস্তুতি নিয়ে এখনো কর্মরত আছে। আশা করি দু-একদিনের মধ্যে ভিসাসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড তারা শুরু করবে।’
আগামী ৪ জুলাই থেকে হ্জ ফ্লাইট শুরু হবে।