জুলাইয়ে হাতে আসবে ই-পাসপোর্ট
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পেলে আগামী ১ জুলাই থেকে অত্যাধুনিক ই-পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছে দেশের নাগরিকরা। এই উদ্যোগ ২০১৭ সালে নেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে তা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
অবশেষে, জুনের মধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করে জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকেই নাগরিকদের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দিতে কাজ চলছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র পেলে আগামী ১ জুলাই থেকেই অত্যাধুনিক ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা শুরু হবে। প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান ওই তথ্য জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পৃথিবীতে ১১৯টি দেশের নাগরিকরা ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে। বাংলাদেশও ওই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে। পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদি হতে পারে এই পাসপোর্ট।
বর্তমানের যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতোই ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, তা ই-পাসপোর্টে থাকছে না। সেখানে থাকবে পালিমারের তৈরি একটি কার্ড। এই কার্ডে সংরক্ষিত চিপে পাসপোর্ট বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডেটা বেইসে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ হবে বয়সভেদে পাঁচ ও ১০ বছর। ই-পাসপোর্ট চালু হলেই এমআরপি পাসপোর্ট বাতিল হবে না।
তবে নতুন করে কাউকে এমআরপি পাসপোর্ট দেওয়া হবে না। যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তারা নবায়ন করতে গেলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে এমআরপি পাসপোর্ট তুলে নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অত্যাধুনিক এই ই-পাসপোর্ট একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট। এতে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ থাকবে। এই চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি) তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।
আর ই-পাসপোর্টের সব তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে পিকেডিতে (পাবলিক কি ডাইরেক্টরি)। আন্তর্জাতিক এই তথ্যভাণ্ডার পরিচালনা করে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)। ইন্টারপোলসহ বিশ্বের সব বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই তথ্যভাণ্ডারে ঢুকে তথ্য যাচাই করতে পারবে। এর ফলে পাসপোর্ট নিয়ে জালিয়াতি কঠিন হবে। সে সুবাদে জনভোগান্তি কমে আসবে।