এফ আর টাওয়ারে আগুন : রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যানের জামিন
রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ভবনটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসিন আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ রুপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান তাঁর আইনজীবী এস কে আবু সায়ীদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। সে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত থেকে বিভিন্ন সময়ে এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর উল ইসলাম এবং ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে জামিন দেওয়া হয়। আর রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খানের জামিনের মধ্য দিয়ে আলোচিত মামলাটির সব আসামি জামিন পেলেন।
গত ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে ফারুক রূপায়ণ (এফ আর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ৭৩ জন।
এফ আর টাওয়ারে আগুনে হতাহতের ঘটনায় গত ৩০ মার্চ বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।
মামলায় কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর উল ইসলাম, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ও বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে আসামি করা হয়। গত ৩০ মার্চ রাতেই তাসভীর উল ইসলাম ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বরে ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। ডেভেলপার কোম্পানি ভবনটির ২০ ও ২১তম তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভীর উল ইসলাম। এরপর তিনি ছাদের ওপর আরো দুটি ফ্লোর নির্মাণ করেন।