স্ত্রী, ভাই, ভাগ্নেসহ ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা
পুলিশের আলোচিত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার ২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ সংস্থাটির পরিচালক মনজুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি (মামলা নম্বর : ১) করেন। এই মামলার মাধ্যমে দুদকের নিজ কার্যালয়ে প্রথম মামলা করা হলো। এর আগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন সভায় মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
মামলার আসামিরা হলেন ডিআইজি মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগ্নে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান।
গতকাল রোববার দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ডিআইজি মিজানের সম্পদের অনুসন্ধান হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
গত বছরের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। প্রথমে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। পরে এই দায়িত্ব পান এনামুল বাছির।
মিজানুর রহমানের সম্পদ খতিয়ে দেখতে নিয়োগ পাওয়া আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে গত ১০ জুন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান দুদকের আরেক পরিচালক মনজুর মোর্শেদ। গত ১২ জুন তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মুখে থাকা ডিআইজি মিজানুর রহমান দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
যদিও পরিচালক এনামুল বাছির বারবার দাবি করেন রেকর্ডকৃত বক্তব্যগুলো কণ্ঠ নকল করে বানানো।