ওসি মোয়াজ্জেমকে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ
ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে কারাগারে বিশেষ সুবিধা (ডিভিশন) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, গত ২০ জুন সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমের পক্ষে কারাগারে ডিভিশন পাওয়ার বিষয়ে আবেদন করা হয়। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আজ ওসি মোয়াজ্জেমকে কারাবিধি অনুসারে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কারাগারে আইন অনুযায়ী ওসি মোয়াজ্জেম পছন্দের খাবার, বিছানা, দৈনিক পত্রিকা, চেয়ার-টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, পছন্দের চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন বলে জানান আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ।
এর আগে গত ১৯ জুন ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আগামী ৩০ জুন এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার লোকজন।
এর আগে ২৭ মার্চ নুসরাত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তাঁর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
পরবর্তী সময়ে ওই ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন। আদালতের নির্দেশে মামলটি তদন্ত করে ঢাকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্ত শেষে গত ২৭ মে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই দিনই মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। তারপর থেকেই পলাতক ছিলেন মোয়াজ্জেম। গত ১৬ জুন হাইকোর্টে জামিন নিতে আসার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।