কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা : অনেক প্রাণ বাঁচে শাহানের কল্যাণে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় রোববার মাঝরাতে সেতু ভেঙে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন স্থানীয় যুবক শাহান মিয়া। তাঁর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। তিনি সময়মতো ফোন না দিলে আরো অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে যেত।
শাহান মিয়ার বাড়ি কুলাউড়ার আকিলপুর গ্রামে। তিনি কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উয়ারদৌস হাসান বলেন, ‘রাত ১২টার কিছুক্ষণ আগে এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর জানান। এত রাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর শুনে আমরা অবাক হই। তখনই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেই।’
দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শাহান বলেন, ‘বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। বরমচাল সেতুর অনেকটা দূরে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ কানে আসে। সেই সাথে ভেসে আসে মানুষের কান্না, চিৎকার। দূর থেকে তাকিয়ে দেখি, বরমচাল সেতু ভেঙে ট্রেনের বগি নিচে পড়ে গেছে। কাছে যেতেই মানুষের কান্নার আওয়াজ আরো জোরে শোনা যায়। ঘটনার দুই-তিন মিনিটের মধ্যেই ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেই এবং পুরো ঘটনা খুলে বলি। যদি সময়মতো পুলিশ না আসত আরো অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটত।’
এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া অন্তত দুই শতাধিক যাত্রী আহত হন। ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের সহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, হতাহতদের উদ্ধারে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও সিলেট সদর থেকে একাধিক ইউনিট উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেয়। রাত ৪টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হয়।