নারায়ণগঞ্জে ইউপি সদস্যকে হত্যা, সাদ্দামের জবানবন্দি
নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বিউটি আক্তার কুট্টি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিউটি আক্তার কুট্টি কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ তাঁর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউসার আলমের আদালতে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনাসহ ঘটনায় জড়িতদের নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সাদ্দাম হোসেন।
গ্রেপ্তার হওয়া সাদ্দাম হোসেনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, দুই বছর আগে বাবুল স্টোর নামে একটি দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে কায়েতপাড়া ইউপি সদস্য বিউটি আক্তার কুট্টির সঙ্গে সাদ্দাম হোসেনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেসময় কুট্টি তাঁর দোকান ভেঙে দিলে সাদ্দাম হোসেন এর প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী সাদ্দাম হোসেনসহ দশজন মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
এ ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে এলাকার মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারের বিষয় রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এসপি।
প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালে নিজ এলাকায় হাঁটতে বের হলে দূর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে বিউটি আক্তার কুট্টিকে। হত্যাকাণ্ডের পর রাতেই নিহত কুট্টির মেয়ে পারভীন আক্তার বাদী হয়ে একই এলাকার সাদ্দাম, স্বপন, জয়নাল, আনোয়ার ও জামালসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ছয়জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। সকালে আমরা সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি স্বীকার করেছেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং হত্যাকারীদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনিসহ আরো আট থেকে দশজন ঘটনায় জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছেন সাদ্দাম হোসেন।