সন্ত্রাস, জঙ্গি ও হত্যার রাজনীতি শুরু বিএনপির হাতে : হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির হাত ধরে বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গি ও হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছিল। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি।
হানিফ বলেন, ‘এই বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গি বা এই সমস্ত হত্যা-খুনের রাজনীতির শুরু হয়েছিল বিএনপির হাত ধরে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময় ছাত্রদের নিয়ে হিজবুল বাহার, সে সময় জাহাজে করে নিয়ে সমুদ্র ভ্রমণে গিয়ে, ফিরে আসার পরে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। শুরু হয়েছিল তখন থেকেই অস্ত্রের ঝনঝনানি।’
‘২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালের কথা ভুলে গেছে বিএনপি? চট্টগ্রামে অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরি বাড়িতে বসা ছিলেন, তাঁর মাথায় কাটা রাইফেল দিয়ে গুলি করে রক্তাক্ত, বীভৎস স্মৃতি কি বিএনপি ভুলে গেছে? ২৬ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল তারা। সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসের তাণ্ডব চালিয়ে সে সময় আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল’, বলেন হানিফ।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারকে ব্যর্থ বলার সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘আমরা বারবারই বলেছি যে, আমাদের সরকার সব ধরনের সন্ত্রাস, নাশকতা, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা পৃথিবীর সব বড় বড় আধুনিক রাষ্ট্রেও হয়ে থাকে। বিশ্বকে নেতৃত্বদানকারী আমেরিকাতেও স্কুলে ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করা হয়, এ রকম ঘটনা দেখছি, নাইটক্লাবে গুলি করে হত্যা দেখেছি, তো তার মানে কি সরকার ব্যর্থ?’
‘আমরা ঘটনা ঘটার সাথে সাথে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। সরকার ব্যর্থ এমন কথা বিএনপির মুখে মানায় না, কারণ তারা ক্ষমতায় থাকতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান, জেএমবি তাদের সশস্ত্র মহড়া প্রকাশ্যে রাজপথে অস্ত্রসহ পুলিশ প্রটেকশনে করেছিল। সন্ত্রাসকে মদদ দিয়েছিল, নার্সিং করেছিল বিএনপি। এই বিএনপির মুখে সরকারের ব্যর্থতার কথা মানায় না।’
সম্প্রতি স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে নতুন করে ওঠা বিতর্ক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘বিএনপির সাংসদরা আবারও বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। আমরা আগেও বলেছি যে, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের পাঠক। ওই সময় একজনক সামরিক কর্মকর্তাকে জোর করে নিয়ে এ ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল। তিনি তৃতীয় নম্বর পাঠক।’